সেই সুখ

(সুফিয়া চৌধুরীকে)

সেই সুখ মাছের ভিতরে ছিল ,
সেই সুখ মাংসের ভিতরে ছিল,
রাতের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যেতো ছেলেবেলা
সেই সুখ চাঁদের ভিতর ছিল,
সেই সুখ নারীর ভিতরে ছিল ! 

নারী কোন রমণীকে বলে?
যার চোখ মুখ স্তন ফুটেছে সেই রমণী কি নারী?
সেই সুখ নারীর ভিতরে ছিল,
যখোন আমরা খুব গলাগলি শুয়ে 
অনু অপলাদের স্তন শরীর মুখ ঊরু থেকে 
অকস্মাৎ ঝিনুকের মতো যোনি, 
অর্থাৎ নারীকে আমরা যখোন খুঁজেছি 
হরিণের মতো হুর্‌রে দাঁত দিয়ে ছিঁড়েছি তাদের নখ, অন্ধকার
সেই সুখ নারীর ভিতরে ছিল।

যখোন আমরা শীতে গলাবন্ধে পশমী চাদর জড়িয়েছি
কিশোরীর কামরাঙা কেড়ে নিয়ে দাঁত বসিয়েছি
সেই সুখ পশমী চাদরে ছিল, কামরাঙা কিশোরীতে ছিল ! 
রঙীন বুদ্বুদ মাছ, তাজা মাংস, সুপেয় মশলার ঘ্রাণ
চিংড়ি মাছের ঝোল যখোন খেতাম শীতল পাটিতে বসে
সেই সুখ শীতল পাটিতে ছিল।

প্রথম যে কার ঠোঁটে চুমু খাই মনে নেই
প্রথম কোনদিন আমি স্নান করি মনে নেই;
কবে কাঁচা আম নুন লঙ্কা দিয়ে খেতে খেতে 
দাঁত টক হয়েছিল মনে নেই
মনে নেই কবে যৌবনের প্রথম মিথুন আমি ঘটিয়েছিলাম
মনে নেই...

যা কিছু আমার মনে নেই তাই হলো সুখ ! 
আহ! সে সুখ...




                           

No comments:

Post a Comment